,


শিরোনাম:
«» ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!! «» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

ধুনটে ঝুকিপূর্ণ বাঁধেই গৃহহীন পরিবারের আশ্রয়

এম এ সাইদ (তন্ময়) রাজশাহী বিভাগীয় চীফ : বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা দূর্গত এলাকার পনিবন্দী শতাধীক পরিবারের লোকজনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাড়িঘর ছেড়ে অবশেষে ঝুকিপূর্ণ বাঁধেই আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনার পানি দ্রুত বেড়ে উঠতে থাকে। যমুনার বুক উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে লোকালয়ে। বাঁধের পূর্বাংশে এসে পানি আঘাত করেছে। এক পর্যায়ে রোববার দুপুরের দিকে ভূতবাড়ী গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বদিকে ফুটো হয়ে পশ্চিম দিকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে ভুতবাড়ি গ্রামে বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশে ভাঙনের ঝুকি এড়াতে বাঁশের তৈরী পাইলিং দিয়ে সেখানে বালু ভর্তি বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, অন্য কোন উচু জায়গা কিংবা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় পানিবন্দী পরিবারের লোকজন ঝুকিপূর্ণ ভুতবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধেই মাথা গোজার ঠাই খুজে নিচ্ছেন। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের সিংহভাগ এলাকাজুড়ে মানুষ অস্থায়ীভাবে খুপড়ি ঘর তৈরী করছেন। অনেকেই ঘর নির্মাণের কাজ গুটিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেকেই নতুন নতুন ঘর নির্মাণ করছেন। যমুনার পানি বাড়ছেই। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বসতবাড়িতে সেই পানি প্রবেশ করছে। এসব পরিবারের মানুষ আশ্রয় নিতে বাঁধে চলে আসছেন। তৈরী করছেন সামান্য মাথা গোঁজার ঠাঁই।
বাঁধে আশ্রিত জামাল উদ্দিন, টুবুলি খাতুন, বকুল হোসেন, জহুরা খাতুনসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, এমনিতেই তাদের অভাবের সংসার। কাজ করলে পেটে ভাত যায়। কাজ না করলে সেদিনটা উপোষ থাকতে হয়। এরমধ্যে আবার যমুনার তান্ডব শুরু হয়েছে। তাদের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে অনেকের অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যস্ত রয়েছেন। বর্তমানে জীবন বাঁচানোর নিরন্তন সংগ্রামে ব্যস্ত বাঁধ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ।
বাঁধে আশ্রিত নুরু মিয়া বলেন, যমুনা নদীর আশেপাশে বসবাস করলে কঠিন বাস্তবতা মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এখান থেকে মুক্তি পেতে চাইলে যমুনাকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। অনেক দূরে চলে যেতে হবে। আর এ জন্য অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু আমার মত যমুনার ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত মানুষদের সেই সামর্থ নেই। তাই ভাঙনের ঝুঁকি কিংবা যত কষ্টই হোক যমুনা পনি না কমা পর্যন্ত বাঁধেই জীবন কাটাতে হবে। তারই প্রস্ততি হিসেবে বাঁশের খুঁটি, টিনের চালা, টিনের বা বস্তার ঘেরা দিয়ে খুপড়ি ঘর তৈরী করছি।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারি প্রকৌশলী হারুনর রশিদ বলেন, ভুতবাড়ি যমুনা নদীর ঝুকিপূর্ন বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার কাজ খুবই দ্রুত গতীতে করা হচ্ছে। পুরো বাঁধ এলাকা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। বাঁধে আশ্রিত গৃহহীন পরিবারের লোকজনের যে কোন ধরনের বিপদ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ